রূপান্তরকামী
-সঞ্জয় গায়েন
-দু’ একটা কথা বলতে না বলতেই শরীরের কথায় চলে এলে! তোমরা পারো বটে।
– আসলে…
– আসল নকল সব বুঝি। প্রথম রিপুর তাড়নাও বুঝি।
– না, দেখ আমি কিন্তু…
– অত কিন্তু কিন্তু করছ কেন? স্পষ্ট বলো কামিনী কাঞ্চন পাবার লাগি জনম আমাদের।
– বাহ্। তুমি বেশ সুন্দর করে কথা বলতে পারো তো।
– তা পারি। আসলে শিখতে হয়েছে। নইলে…
– নইলে কি?
– ওই যে ষড়রিপু। তোমরা ছেলেরা তো প্রথম রিপুর স্বাদ না পেলেই দ্বিতীয় রিপু প্রকাশ করো।
– মানে!
– আহা! যেন কিছুই জানে না।
– সত্যি জানি না। তুমি বলো শুনি।
– থাক আর জেনে লাভ নেই।
– ও। বলবে না তো।
– দেখলে তো এইটুকুতেই কেমন দ্বিতীয় রিপু প্রকাশ পেয়ে গেল। কিন্তু অমন রাগ যে ভাল নয়।
– কি যে বলো! রাগ! তাও তোমার উপর! না গো। থাকতেই পারব না রাগ করে।
– তাহলে কি পারবে? কি পারো তুমি? তোমরা? শুধু লোভ দেখাতে?
– ছি! ছি! লোভ দেখাতে যাব কেন?
– কারণ তোমার তৃতীয় রিপু।
– প্লিজ। বিশ্বাস করো আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি।
– এই তো। পেরেছি। আমি পেরেছি।
– কি পেরেছো?
– কেন তোমাকে মোহাচ্ছন্ন করতে। অবশ্য আমি জানতাম তোমার ভিতরের চতুর্থ রিপু এভাবেই প্রকাশিত হবে।
– দেখ অত কিছু জানি না। শুধু এটুকু বুঝেছি এই মুহুর্তে সব কিছু তুমিময়। তুমি আমার…
– মদের নেশার মতো। তাই তো।
– নেশা! একে তুমি নেশা বলছ!
– হ্যাঁ। নেশাই তো। তুমি অবশ্য পঞ্চম রিপুর তাড়না বলতে পারো।
– আমি অন্য কিচ্ছু বলতে চাই না। শুধু তোমাকে পেতে চাই। না পেলে কিন্তু…
– ষষ্ঠ রিপুর প্রকাশ ঘটাবে তাই তো। কিন্তু হিংসা (মাতসর্য) দিয়ে কি কিছু পাওয়া যায়। কি গো?
– না গো। পাওয়া যায় না। ষড়রিপু দিয়ে কিচ্ছু পাওয়া যায় না। সেজন্যই তো তোমার কাছে এসেছি।
– কিন্তু আমি …
– তুমি যে কামের রূপান্তর ঘটাতে পারো। কারণ তুমি রূপান্তরকামী।
Bah!
Bhal laglo da.
আন্তরিক ধন্যবাদ